রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
যে পাঁচ কারণে গুগল-কর্মীরা অফিসের গ্যারেজে থাকেন

যে পাঁচ কারণে গুগল-কর্মীরা অফিসের গ্যারেজে থাকেন

1452785431-google-campusআমার সুরমা ডটকম ডেক্স : গুগলে যারা কাজ করেন তাঁদের বলা হয় ‘গুগলার’। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের স্বপ্ন থাকে গুগলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়ার। কারণ সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গুগলের অবস্থান উপরের দিকে। এছাড়া কাজ শেখার অবারিত সুযোগ তো রয়েছেই।

এত বেতন পাওয়ার পরও গুগলের অনেক কর্মীই কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির গ্যারেজে থাকেন! যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে অবস্থিত গুগলের বিশাল সদর দপ্তর। যা পরিচিতি ‘গুগল ক্যাম্পাস’ নামে। সেখানকার গ্যারেজে রাখা আছে বড় বড় ট্রাক। আর সেটাই অনেক গুগলকর্মীর ঘরবাড়ি। কাজ শেষে তারা সেখানে বিশ্রাম নেন। পরের দিন আবার কাজে ফিরে যান। এত বেতন পাওয়ার পরও কেন গুগলাররা অফিসের গ্যারেজে ট্রাকের ভিতরে থাকেন তার পাঁচটি কারণ জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট কোয়েরা ডটকম

বেশি ভাড়া: গুগলার বেন ডিসকয় গুগল ক্যাম্পাসে ছিলেন ১৩ মাস। ২০১১ সালের অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। কারণ গুগলের সদর দপ্তরের পাশের এলাকা সাউথ বে তে বাড়িভাড়া এতই বেশি যে সেটা দেওয়ার মতো আর্থিক সক্ষমতা তার ছিল না। তাই গ্যারেজের মধ্যে একটা ট্রাকেই থাকার ব্যবস্থা করে নিয়েছিলেন। বেশ আরামেই ছিলেন সেখানে।

পয়সা বাঁচাতে: ২৩ বছর বয়সী ব্র্যান্ডন ওক্সেনডাইন গুগলের পার্কিং লটে ছিলেন ২০১৩ সালের ২৮ জুন থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। একটা স্টেশন ওয়্যাগন কিনে সেটার ডেকে দুটো ম্যাট্রেস পেতে চারপাশে পর্দা দিয়ে নিজের আবাস তৈরি করে নিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন। নিজের ব্লগে তিনি লিখেছেন, ‘সে সময় আমার টাকা বাঁচানোর খুব দরকার ছিল। বিশ্বভ্রমণে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। আর সে কারণেই থাকার জায়গার পিছনে বেশি অর্থ খরচ করতে চাইনি। আরামে থাকার জন্য গুগলের পার্কিং খুবই ভালো জায়গা।’

নতুন অভিজ্ঞতা: টাকা-পয়সার সমস্যা না থাকলেও ম্যাথু জে ওয়েভার গুগলের পার্কিং লটে ছিলেন সেখানে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘পার্কিং লটে থাকাটা আমার ক্যারিয়ার গড়তে খুব সাহায্য করেছে।’ যদিও গুগলের নীতিমালার মধ্যে কর্মীদের অফিসে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিরাপত্তাকর্মীরা গ্যারেজের এসব ভ্রাম্যমাণ গাড়ির ওপর সব সময়ই কড়া নজর রাখেন।

বাড়ি খুঁজে না পেলে: একজন গুগলার জানিয়েছেন, তিনি গুগলের লন্ডন অফিস থেকে মাউন্টেন ভিউয়ের সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসার পর থাকার মতো কোনো ভালো জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আর সে কারণে বাধ্য হয়েই পার্কিং লটে থাকা শুরু করেন। অবশ্য বেশিদিন নয় মাত্র এক সপ্তাহ পার্কিং লটে ছিলেন তিনি। অবশ্য এ সময় অফিসে নিজের ডেস্কের নিচেও ঘুমিয়েছেন তিনি।

পার্কিং লটে থাকা কি কঠিন? শুনে যতটা কঠিন বা খারাপ মনে হয় পার্কিং লটে থাকাটা কিন্তু তেমন অসুবিধার না। কারণ পার্কিং লটে শুধু ঘুমাতেই যায় কর্মীরা। প্রাকৃতিক কর্ম সারতে তারা চলে যান জিমে। আর খাওয়া-দাওয়া করার জন্য তো গুগল অফিসের চেয়ে ভালো আর কোনো জায়গা নেই। প্রত্যেক কর্মীর জন্য বিনা মূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয় গুগল অফিসে। জামাকাপড় ধোয়ার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে গুগল ক্যাম্পাসের ভেতরেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com